রামায়ণে দেখা যায়, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুকের নির্মাতা। একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে বা প্রযতিকে দেন আর অন্যটি প্রদান করেন বিষ্ণু, দ্য ক্যাপিটালিস্টকে। বিষ্ণু ধনুকটি দেন চিরজীবী পরশুরামকে। রাম শিবের ধনুকটি ভঙ্গ করেন। শিবের ধনুক গেল। রয়ে গেল বিষ্ণুর ধনুক। রাম স্বয়ং বিষ্ণু। বিশ্বকর্মার পুত্র বিশ্বরূপকে ইন্দ্র বধ করেছিলেন। এই বিষ্ণুকে দু ভাবে দেখা যায়। সে প্রসঙ্গে অন্য সময় যাওয়া যায়। মোদ্দা কথা হল, বিশ্বকর্মা হলেন কারিগর। পুঁজির বাজার সেই বিশ্বকর্মাকে আদি থেকেই ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। মহাভারত অনুযায়ী, কারিগর বিশ্বকর্মা হলেন শিল্পকলার দেবতা। তিনি কর্মী, তাই তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট কারণ তিনিই হলেন আসল নরপতি। হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস আর অন্য হস্তে যন্ত্র। তিনি একাধারে মহাবীর ও দয়াদি অষ্টগুণ যুক্ত । তিনি সৃষ্টির নির্মাতা ও ধাতা। তিনি মান ও দণ্ডধারী মহাশিল্পী। আবার তিনিই মহাযোদ্ধা। এই দণ্ড কী? দণ্ড হল যা ধারণ করে, দণ্ড সকল ক্ষমতার উৎস। এখান থেকেই আসে দণ্ডনীতি বা রাজনীতি। লিখছেন শামিম আহমেদ
by শামিম আহমেদ | 17 September, 2021 | 1918 | Tags : Biswakarma Work force Capitalisim